,

সৌদিতে তরুনী নির্যাতনের ঘটনায় মামলা ॥ দালাল কাশেম গ্রেফতার

পিন্টু অধিকারী/শেখ জাহান রনি, মাধবপুর : সৌদিতে নির্যাতনের শিকার তরুণী ইয়াসমিন আক্তার (১৫) তরুনীকে দেশে আনার পর মাধবপুর থানায় মানবপাচার আইনে মামলা হযেছে। নির্যাতনের শিকার ওই তরুনীর পিতা বাদী হয়ে শনিবার রাতে বাদী ৬ জনকে আসামী করে মামলাটি দায়ের করেন। রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামী আবুল কাশেম কে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মহসিন আল মুরাদ জানান, এঘটনায় মামলা হওয়ার পর এসআই মানিক সাহা রোববার চুনারুঘাট উপজেলার নরপতি গ্রামে অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামী আবুল কাশেম কে গ্রেফতার করে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত (২৭ সেপ্টেম্বর) আবুল কাশেম ও অন্য আসামীরা মিলে ভাল কাজের প্রলোভন দিয়ে ইয়াসমিন আক্তারকে সৌদি আরব পাঠায়, সেখানে তাকে গৃহকর্মীর কাজ দেয়া হয়। এরপর নানা ভাবে অত্যাচার নির্যাতন চলতে থাকে তার উপর। সুযোগ বুঝে সে তার পিতাকে ফোনে নির্যাতনের বর্ননা দিয়ে দেশে ফিরিয়ে আনার আকুতি জানায়। তিনি প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে মেয়েকে দেশে ফিরিয়ে আনার আবেদন করেন। সিনিয়র সহকারী সচিব মোঃ সারওয়ার আলম ওই তরুনীকে উদ্ধার করে দেশে ফেরত পাঠাতে রিয়াদে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসকে অনুরোধ করেন। শনিবার সকালে দূতাবাস ও সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্টের সহযোগিতায় তরুনীকে দেশে পাঠানো হয়। ওই তরুনী বর্তমানে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন। উল্লেখ্য, গত ২৭ সেপ্টেম্বর দালালের মাধ্যমে সৌদি আরবে গিয়ে গৃহকর্মীর কাজে যোগ দিয়েই নির্যাতনের শিকার হয়। একপর্যায়ে ইমো/মেসেঞ্জারে বাবা কুদ্দুস মিয়াকে সব কিছু জানায় সে। ইয়াসমিনকে উদ্ধারের জন্য কুদ্দুস মিয়া প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। এ নিয়ে গত ৫ অক্টোবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সৌদি আরবে পাচার হওয়া তরুনীর উদ্ধারের আকুতি নিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।
মাধবপুর থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন আবুল কাশেম কে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।
মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইশতিয়াক আল মামুন জানান, ওই তরুনী শারীরিক অবস্থা ভাল নয়। মানসিকভাবেও তিনি পুরোপুরি স্বাভাবিক নন। নির্যাতনের শিকার তরুনীর বিশ্রাম ও চিকিৎসা প্রয়োজন।


     এই বিভাগের আরো খবর